গোপালগঞ্জ রিপোর্ট :
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ৫ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিএনপির হাইকমান্ড ঘোষিত এই সম্মেলন ঘিরে জেলার রাজনীতিতে ফিরেছে উৎসবের আমেজ। সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদ-পদবির দাবিতে প্রচারে ব্যস্ত, এতে করে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমেও এসেছে নতুন গতি ও প্রাণ।
এই সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন গরিবের ডাক্তার নামে পরিচিত গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আস্থার প্রতীক: ডা. কেএম বাবর। ডা. কেএম বাবর একটি নাম, একটি প্রেরণা। তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম ভরসার মুখ। তিনি সেই মানুষ, যিনি দলের নেতৃত্ব শূন্যতার সময়ে হাল ধরেছিলেন, যখন অনেকেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক সংকটকালে তিনি ছিলেন বিএনপির অচলনীয় কান্ডারি।তবে তাঁর পরিচয় এখানেই শেষ নয়। তিনি গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত “গরিবের ডাক্তার” নামে। চিকিৎসা পেশার প্রতি তাঁর আত্মনিবেদন এবং দরিদ্র রোগীদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাঁকে করেছে মানুষের আপনজন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। তার দৃপ্ত উপস্থিতি গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছে বলে মত প্রকাশ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার হিসেবে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডা: বাবর বলেন, রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুসারী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আপনারাই আমার সাহস আপনারাই আমার শক্তি। পূর্বের ন্যায় নিজেকে সারা জীবন আপনাদের সেবায় নিয়োাজিত রাখতে চাই। আমি ঘরের নই,পরের হয়ে থাকতে চাই।
আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে আগামীতে গোপালগঞ্জ দুই আসনকে মাদক মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত,চাঁদাবাজমুক্ত, শিক্ষিত স্বনির্ভর আধুনিক একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখি ,সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ৫ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ দাবি করে ডাঃ কে এম বাবর বলেন, জেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক আদর্শে সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। দলের হাইকমান্ড ‘ক্লিন ইমেজ’ নেতৃত্ব খুঁজছেন জানিয়ে ডা: বাবর বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সিনিয়র নেতাদের দূরদর্শী চিন্তা-চেতনায় এবং তীক্ষ নজরে আমি বাদ পড়ব না যোগ্যতার বিচারে। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
‘আজকে দলের সুদিনে এসেছে। আশা করছি, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সেই দৃষ্টিকোণে আমি গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আগামী পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা: বাবর বলেন, ‘নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাব। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে জনগণের কাছে বিএনপির রাজনীতির সুবাতাস ছড়িয়ে দেব।’
Leave a Reply