রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গোপালগঞ্জে ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে নির্মাণ কাজ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ডাঃ কে এম বাবর গোপালগঞ্জ পৌরসভায় অসংখ্য অবৈধ পানির লাইন থাকার অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকতার স্বকৃত সোপান শেখ মোস্তফা জামান গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গোপালগঞ্জ পৌরসভার ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০। গোপালগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ গোপালগঞ্জে সাংবাদিক শেখ মোস্তফা জামানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান বিজ এর উদ্যোগে গোপালগঞ্জে কৈশোর উন্নয়ন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৬.৩৩ এএম
  • ১৪৭ Time View

গোপালগঞ্জ রিপোর্টঃ

গোপালগঞ্জ জেলার একমাত্র উন্নত চিকিৎসার ভরসা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ। সেখান থেকে মানুষ কতটুকু সেবা বা চিকিৎসা পাচ্ছে? এই মেডিকেল কলেজকে ঘিরে চারপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো অর্ধশত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন তাহলে কী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা বা সেবার মান ভালো না? উন্নতমানের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা না নিয়ে ছুটছে আশপাশের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এদিকে নামকরা চিকিৎসকরাও সময় দিচ্ছেন এসব ডায়গনস্টিক ও ক্লিনিকে।

সিভিল সার্জন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ম তোয়াক্কা না করেই গোপালগঞ্জে জেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না কেন তাই জনমনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা বাণিজ্য বর্তমানে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। গোপালগঞ্জ জেলায় হাতে গোনা কয়েকটি কিনিক ছাড়া নব্বইশতাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে বৈধ কাগজপত্রই নেই। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তাবলী অনুযায়ী না আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, অপারেশন থিয়েটার ও ঔষধপত্র। মেডিকেল কলেজের নামকরা ডাক্তার গিয়ে এসব ক্লিনিকে সময় দিচ্ছেন। সময় অনুযায়ী তারা নিচ্ছেন এক পার্সেন্টেস। এদিকে দেখা যাচ্ছে মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসা না নিয়ে শত শত রোগী ছুটছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে একটিতেও নেই কোন চিকিৎসাবর্জ্য ধ্বংসের ব্যবস্থা, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র। যেকোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক নিবন্ধনভুক্ত হতে বা যাত্রা শুরু করতে হলে পরিবেশ ছাড়পত্র থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে বর্জ্য নষ্ট ও শোধন ব্যবস্থাপনা না থাকলে এমন প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হয় না, তা সত্তেও দিব্বি চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। আর যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি বাড়ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

bartamangopalganj_16011
© All rights reserved © 2025