গোপালগঞ্জ রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জ জেলার একমাত্র উন্নত চিকিৎসার ভরসা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ। সেখান থেকে মানুষ কতটুকু সেবা বা চিকিৎসা পাচ্ছে? এই মেডিকেল কলেজকে ঘিরে চারপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো অর্ধশত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন তাহলে কী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা বা সেবার মান ভালো না? উন্নতমানের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা না নিয়ে ছুটছে আশপাশের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এদিকে নামকরা চিকিৎসকরাও সময় দিচ্ছেন এসব ডায়গনস্টিক ও ক্লিনিকে।
সিভিল সার্জন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ম তোয়াক্কা না করেই গোপালগঞ্জে জেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না কেন তাই জনমনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।
এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা বাণিজ্য বর্তমানে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। গোপালগঞ্জ জেলায় হাতে গোনা কয়েকটি কিনিক ছাড়া নব্বইশতাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে বৈধ কাগজপত্রই নেই। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তাবলী অনুযায়ী না আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, অপারেশন থিয়েটার ও ঔষধপত্র। মেডিকেল কলেজের নামকরা ডাক্তার গিয়ে এসব ক্লিনিকে সময় দিচ্ছেন। সময় অনুযায়ী তারা নিচ্ছেন এক পার্সেন্টেস। এদিকে দেখা যাচ্ছে মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসা না নিয়ে শত শত রোগী ছুটছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে একটিতেও নেই কোন চিকিৎসাবর্জ্য ধ্বংসের ব্যবস্থা, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র। যেকোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক নিবন্ধনভুক্ত হতে বা যাত্রা শুরু করতে হলে পরিবেশ ছাড়পত্র থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে বর্জ্য নষ্ট ও শোধন ব্যবস্থাপনা না থাকলে এমন প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হয় না, তা সত্তেও দিব্বি চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। আর যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি বাড়ছে।
Leave a Reply