গোপালগঞ্জ রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ, এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। মূলত, পণ্যের দাম বেশি রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা, এবং সঠিক তথ্য না জানানোর মত সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও, হোটেল রেস্তোরায় নিম্ন মানের খাবার বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে মরা মুরগি বিক্রি করছে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের কোনো টনক নড়ছে না। সেবা প্রদানে অনিয়ম এবং অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেককে।
গোপালগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনীম এর অফিসে গিয়েও তার দেখা মেলেনি। অসুস্থতার অযুহাতে তিনি অফিসে আসেননা বলে জানাগেছে। গোপালগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সরকারি (০১৩১৮৩৯৬৯৪২) এই নাম্বারটিতে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আবার কখনো সাড়া পাওয়া গেলেও কাজের কাজ কিছু হয় না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শোনার পর বলা হয় ভোক্তা অধিকার অফিসে এসে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোক্তাদের অ্যানালগ সিস্টেমে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ভোক্তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলেও প্রতিকার চেয়েও যথাযথ ব্যবস্থা পান না। যার কারণে, বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়ার পরও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর একটি জনবান্ধব সরকারি দফতর। এ অধিদফতর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, নকল ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতারিত ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তিসহ ভোক্তা-অধিকারবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা। ভোক্তা সাধারণকে অভিযোগ দায়েরসহ অভিযোগ নিষ্পত্তি ও সার্বিকসেবা গ্রহণের জন্য দীর্ঘ সময় অনাকাঙ্খিভাবে অপেক্ষা করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
Leave a Reply