উৎসব মানেই মিষ্টিমুখ, তাই যেকোনো উৎসবেই বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন করা হয়। আর কিছুদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই উৎসবের আয়োজন ঘিরেও ব্যতিক্রম নয়। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা এইসব খাবার স্বাভাবিকভাবেই এড়িয়ে চলতে চান।
উৎসবে মিষ্টি খাওয়া রীতি হলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে আগে থেকেই খাবার নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করলে ফল, বাদাম, খেজুর বা বীজ খেতে পারেন। ভারতীয় চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ রাজেশ্বরী পান্ডা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এই ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছেন-
পরিকল্পনা: উৎসেবের আগেই নিজের খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে রাখুন। সকালের নাস্তা বা দুপুর বা রাতের খাবারে যা খাবেন তা চিনিমুক্ত রাখা নিশ্চিত করুন। ঈদ-উল-ফিতরের বিশেষ আয়োজনে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
খাদ্যবাছাই:ঐতিহ্যবাহীমিষ্টিএবংমিষ্টান্ন রান্না করার সময় চিনি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা ভালো। এর পরিবর্তে সুগার ফ্রি বা লো সুগারে রান্না করুন। সবচেয়ে ভালো হয় তাজা ফল খেলে। মৌসুমী তাজা ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয় এবং ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে। এতে শরীরে পুষ্টির জোগানও হয় আবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কার্বোহাইড্রেট: শুধু চিনি নয়,কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ মাত্রার দিকে মনোযোগ দিন। ঈদে ভাত, রুটি এবং অন্যান্য স্টার্চযুক্ত খাবারের পরিমাণও বেশি থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে খাবারে চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখুন।
সক্রিয় থাকুন: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের পরে অল্প হাঁটাহাঁটি করুন অথবা হালকা ব্যায়াম করুন। প্রিয়জনের সাথে আরও ভালো সময় কাটাতে বাইরে খেলাধুলা বা গ্রুপ ওয়ার্কআউটের পরিকল্পনা করতে পারেন।
হাইড্রেটেড থাকুন: হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করুন, বিশেষ করে উষ্ণ জলবায়ুতে অথবা যদি আপনি শারীরিক পরিশ্রম করেন। চিনিযুক্ত পানীয় সীমিত করুন এবং পরিবর্তে পানি, ভেষজ চা বা চিনিমুক্ত পানীয় বেছে নিন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
Leave a Reply